শ্রীনগরে কুকুটিয়া কে,কে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রয়াত প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল মাষ্টারের স্বরণে শোকসভা

শ্রীনগরে কুকুটিয়া কে,কে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রয়াত প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল মাষ্টারের স্বরণে শোকসভা

আরিফ হোসেন ঃ

শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া কমলাকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রয়াত সাবেক প্রধান শিক্ষক ও কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল মাষ্টারের স্বরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৩ টায় বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠানটি সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল মাষ্টারের স্বরণে এই শোকসভার আয়োজন করেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ।

 

কুকুটিয়া কে,কে উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সেলিম আহমেদ ভূইয়ার সভাপতিত্বে এবং বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক বিমলান্দ বসুর সঞ্চালনায় শোকসভায় বক্তব্য রাখেন লিনা গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল জাব্বার মিয়া, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবীর, কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ বাবুল হোসেন বাবু, লৌহজং বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপধ্যক্ষ শহিদুর রহমান, ঢাকা ইম্পিরিয়াল কলেজের অধ্যাপক মোঃ দেলোয়ার হোসেন মৃধা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আমজাদ হোসেন ভূইয়া, মুন্সীগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডঃ আলহাজ্ব জাকারিয়া মোল্লা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রফেসর মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, হেলালউদ্দিন বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হাজী মোঃ আবুল হাসেম বেপারী, সাবেক ছাত্র মোশারফ হোসেন হাই, আব্দুস সাত্তার মুক্তার, আব্দুস সালাম সেন্টু মুক্তার, রেজাউল করিম রেজা, আব্দুল হালিম শেখ, হাবিবুর রহমান উজ্জ্বল প্রমুখ। বক্তারা বলেন, প্রয়াত আব্দুল জলিল মাষ্টার ছিলেন আদর্শ শিক্ষক ও সফল ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি দীর্ঘ ২৮ বছর কুকুটিয়া কমলাকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি তিনি বিবন্দী বাজারের প্রতিষ্ঠাতা, বিবন্দী পোষ্ট অফিস, বিবন্দী কমিউনিটি ক্লিনিক, বিবন্দী বাজার জামে মসজিদ মাদ্রাসার জমি দাতা, বিবন্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য । এছাড়াও তিনি এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকান্ডে বিশেষ অবদান রেখে গেছেন। এলাকাবাসী তার এই অবদান চিরকাল স্মরণ রাখবে। আব্দুল জলিল মাষ্টার গত ৯ জানুয়ারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাষ ত্যাগ করেন। মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী, ৪ পূত্র ও ১ কন্যা ও নাতি-নাতনী সহ বহু গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। সভায় তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির ধর্মীয় শিক্ষক ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment